আইইএলটিএস পরিক্ষার বিভিন্ন ধরনগুলো জেনে নিন
প্রিয় পাঠক,বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শিক্ষার মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় ইংরেজী ভাষার পরিক্ষা। আইইএলটিএস পরিক্ষাটি বিশ্বের বেশ কিছু অগ্রণী বিশেষজ্ঞরা তৈরী করেছেন। এ পরিক্ষাটির মাধ্যমে আপনার ইংরেজীতে স্পিকিং,রিডিং, রাইটিং,লিসেনিং সবকটি বিষয়ের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।
আইইএলটিএস পরিক্ষাটি দেওয়ার জন্য পরিক্ষার্থী র বয়স কি কি যোগ্যতার লাগে ও পরিক্ষার বিভিন্ন ধাপ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
ভুমিকা
এক সময় যক্তরাজ্যে ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য আইইএলটিএস পরিক্ষাটি অপরিহার্য ছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ওকানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও এ পরিক্ষার স্কোর গ্রহণ করছে। এছাড়াও পশ্চিমাদেশ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও আইইএলটিএস এর পরিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।
আরোও পড়ুনঃসরকারি ই সেবা গুলো সম্পর্কে জানুন
এ পরিক্ষাটির প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন ইংরেজী ম্যাগাজিন, সাবলিল ভাষা বোঝার জন্য সোসাল মিডিয়ায় ইংরেজী বক্তৃতা শোনা, ভোকাবুলারি , সামারি, জন্য ইংরেজী সাহিত্য ও গ্রামাটিক্যালে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
আইইএলটিএস কিঃ
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাদের মাতৃভাষা ইংরেজী না তাদের ইংরেজী ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের আন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃতি পদ্ধতিকে বলে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম বা আইইএলটিএস বলে।
কারা এ পরিক্ষায় অংশ নিতে পারবেঃ
এ পরিক্ষাটি যে কেউ অংশ সিতে পারবে। এখানে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ওবয়সের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রী ও কারিগরি ইমিগ্রেশনের জন্য এ পরিক্ষা দিতে হয়।
এ পরিক্ষার সময়সূচিঃ
এ পরিক্ষায় আবেদন করার পর বিশেষজ্ঞদের দেয়া নিদিষ্ট সময় অনুযায়ী পরিক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়। মানে আপনাকে ২দিনে এ পরিক্ষাটি দিতে হবে। একই দিনে কেন বিরতি ছাড়া রাইটিং ৬০ মিনিট,রিডিং ৬০ মিনিট,স্পিকিং১০-১৫ মিনিট,লিসিনিং ৩০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।
পরিক্ষার ধরণ
এ পরিক্ষা ২ ধরনের পদ্ধতিতে নেওয়া হয় ।
১.একাডেমিকঃ বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক,স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচ ডি পর্যায়ে পড়াশুনার জন্য একাডেমিক পরিক্ষা দিতে হয়।
২.জেনারেল ট্রেনিংঃ কোন শিক্ষার্থী যদি কারিগরি বিষয়ে বা প্রশিক্ষণ নিতে চান তবে তাকে জেনারেল ট্রেনিং পরিক্ষা দিতে হয়। িএছাড়া যারা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চান তাদেরকেও জেনারেল ট্রেনিং পরিক্ষা দিতে হয়।
পরিক্ষার পদ্ধতি
আইইএলটিএস পরিক্ষা পদ্ধতি চারটি অংশে বিভক্ত থাকে। লিসেনিং,রাইটিং, স্পিকিং,রিডিং।
লিসেনিংঃএকটি বিষয় একবার অডিও রেকডিং বাজিয়ে শোনানো হয় । রেকডিং এ কথোপকথন শুনে এ অংশের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। কথোপকথনের মাধ্যমে পরিক্ষার্থীর বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ অংশে পরিক্ষার্থীকে ৪ ধরনের অ্যাকসেন্ট এর মুখোমুখি হতে হয়অ যেমন: ব্রিটিশ,আমেরিকান, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান।এক্ষেত্রে পরিক্ষার্থীর শুনতে পাওয়ার যাচই ভাবলে ভুল হবে সুক্ষ্ণ কার্যকারী
ভাবে শুনতে পারা ওদক্ষতা যাচাই করা হয়। চর্চা আর ঠিকমতো পরিকল্পনা করলে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ স্কোর তোলা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। ৪০টি প্রশ্নকে ৪ সেকশনে ভাগ করা হয়েছে । অডিও ক্লিপগুলোতে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন সেকশনে১০ করে প্রশ্ন থাকে। প্রথম সেকশনে ২জন ব্যক্তির কথোপকথনের মধ্যে একজন তথ্য পেতে আগ্রহী অপর জন তথ্য প্রদান করেন যা সাধারন
যাত্রা,ব্যায়াম,ভ্রমন সম্পর্কেতথ্য আদান প্রদান করে থাকে। ২য় সেকেশনে একজন ব্যাক্তি পার্ক,থিয়েটার,জাদুঘর ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য দিকনির্দেশনা বা নকশা জাতীয় বর্ণনা দেন।৩য় ধাপে দুই জনব্যাক্তি তাদের ভবিষৎ মূলক প্রবন্ধ প্রকল্প বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ৩য় সেকশনে শিক্ষাথীৃকে সময়ে সময়ে বাধাগ্রস্থ বা সম্পুরক রূপ পাওয়া এর বহু মাত্রিক সূত্রগুলো ঠিকঠাক মতো শুনতে ও ধরতে পারার দক্ষতায় দখল নিতে হয়।
৪র্থ সেকশনে সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র, বায়ু মণ্ডল .কার্বনডাই অক্সইড,মাটির ভূমিকা কোন নিদিষ্ট ভাষার উপর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে একজন ব্যাক্তি আলোচনা করে। এসেকশনে দেখা যায় খুবই অল্প সময়ের ভিতর আলোচ্য বিষয়ের অনেক গুলো দিক বলে থাকেন। এরই সঙ্গে আলোচ্য বিষয় তত্ব গত গবেষণা অথবা তথ্যের সন্নিবেশ থাকার আলোচনা বেশ কিছু অপরিচিত ধারণা উল্লেখ থাকে যার কারনে এ ্অংশে পরিক্ষার্থীকে অপরিচিত ধারনায় বিচলিত না হয়ে সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় অংশ বুঝতে পারা এবং তাতে মনোযোগ দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
মন্তব্য
আইইএলটিএস পরিক্ষায় সর্বেোচ্চ স্কোর পাওয়ার জন্য প্রশ্ন কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর উক্ত মডিইলের অন্তগত ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন কিভাবে সমাধান করতে হেয় সে ব্যাপারে দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url