OrdinaryITPostAd

দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত



বর্তমানে যেসব খাবার গুলো নিয়ে মানুষের যে দোদুল্য মান সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে ডিম একটি। দিনে কয়টা ডিম খাওয়া বাবে ডিমের কোন অংশ কিভাবে খেতে হবে এই নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্নের শেষ নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি সুপার ফুড হিসাবে পরিচিত।তাই নিচে ডিমের
 

পুষ্টিগুণ,খাওয়ার নিয়ম, মানুষের শরীরের জন্য কতটা উপকারি সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ভূমিকা

আমাদের শরীরে অপুষ্টি,রক্তসল্পতা,মস্তিষ্কের বিকাশ ওমাংশ পেশিকে শক্ত করার জন্য ডিম একটি প্রাকৃতিক ভালো খাবার।ডিম আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধএকটি আদর্শ খাবার। কেউ যদি রাগ কেরে ডিম খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন হরমোন তৈরী থেকে ও স্বাভাবিক বিকাশে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডিম একটি সস্তা ও সহজ লভ্য প্রোটিন যা আমাদের শরীরে জন্য খুবই উপকারি। তাই এ প্রোটিনটি বাদ দিলে চলবে না।

একটি বড় ডিমে যেসব উপাদান থাকে

  • প্রোটিন ৬গ্রাম
  • এসেনসিয়াল এমাইনো এসিড ৯টি
  • কোলেস্টেরল ১৮৬ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন এ,ডিিই,বি৫,বি৬,বি১২
  • মিনারেল
  • আয়রণ
  • ফলিক এসিড
  • ফসফরাস
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • আয়োডিন
  • কপার
  • জিংক
  • ক্যালশিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • সোডিয়াম
  • সালফার

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া যাবে

পুষ্টিবিদগেনের মতে কোনমানুষের রক্তের কোলেস্টরল স্বাভাবিক থাকে এবং লাইফস্টাইল ডিজিজ না থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে সপ্তাহে সাতটি ডিম খেতে পারেন মানে দিনে একটি করে কুসুমসহ খেতে পারেন।কিন্তু যাদের পেশির দুর্বলতা,রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা রয়েছে তারা দিনি দুটি করে প্রথমটি কুসুমসহ দ্বিতীয়টি কুসুম ছাড়া খেতে পারেন। এছাড়া হাঁসের ডিম একটির অধিক খাওয়া উচিত নয়।

কিন্তুু কোয়েল পাখির ডিমপুষ্টিগুণ সমৃদ্ধও ছোট হওয়ার কারনে একসাথে চারটি খাওয়া যেতে পারে।তবে মুরগীর ডিম দিনে চারটি খাওয়া যাবে না। কারণ বিজ্ঞানীরা বলেন, দিনে মানুষের ৩০০ মিলিগ্রাম কোরেস্টরলের দরকার হয় সেজন্য দুটি ডিম খেলে এতটুকু কোলেস্টরলের চাদিা পূরণ হয়। কিন্তু যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্রা রয়েছে তাদের ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টরল দরকার এজন্য দিনে ১টি ডিম ই যথেষ্ট।তবে অবাক কবা তথ্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কোলেস্টরল লিভার ওকিছু কোষ থেকে তিন চতুথাংশ আপনা অপনি তৈরী করতে পারে ।

 একটি গবেষণায দেখা গেছে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরেও ৭০ শতাংশ মানুষের রক্তের কোলেস্টরল বাড়ে না বাকি ৩০ শতাংশ ক্ষতিকর কোলেস্টরল বাড়ে অল্প মাত্রায়। তবে পুষ্টিবিদগনের মতে দেশী মুরগীর ডিম,কোয়েল পাখির ডিম,যেসব ফার্মের মুরগীকে অর্গানিক খাবার দেওয়া হয় সেসব ফার্মের ডিম খাওয়া  যেতেপারে।

কিভাবে ডিম খেলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে

১.তেল বিহীন পোঁচ প্রথমে কড়াই হালকা গরম করে ডিমটিকে এমন ভাবে ভাঙতে হবে যাতে কুসুম চারিদিকে ছড়িয়ে না যায়। এরপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ওগোরমরিচের গুড়া ছিটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২.হাফবয়েল অর্থাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফুটন্ত গরম পানিতে ৫ মিনিট ধরে ডিমকে ফুটিয়ে সাদা অংশ ফুল সিদ্ধ আর কসুম হালকা সিদ্ধ অবস্থাকে হাফবয়েল বলে এভাবে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় ।
৩.ফুলবয়েল যা গরম পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ফুল সিদ্ধ করে ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন বজায় থাকে।
৪.কাঁচা ডিম খেলে ৫০% প্রোটিন পাওয়া যায় । কিন্তু কাঁচা ডিমে ভায়োটিন৭ও সারমোনিয়া থাকার কারনে অনেকের আবার ডায়রিয়া বমি জ্বর ইত্যাদি হতে পারে এজন্য ৭৪ ডিগ্রী তাপমাত্রাই সিদ্ধকরে খাওয়া ভালো।তবে ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন আর কুসুমের মধ্যে এলবুমিনওকোলিন থাকার কারনে ব্রর্ণ,এলার্জী, ওলিভারের সমস্যা দূর করার জন্য কুসুম খাওয়া দরকার।

ডিম খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমাতে ডিম খাওয়ার উপকিারিতাঃ কুসুম ছাড়া ডিম খেলে কোন ফ্যাট না থাকার কারনে পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে । পেট ভরা থাকলে খাওয়ার চাহিদা কম থাকায় শরীরের ওজন কমতে থাকে।

শরীরের এনার্জী বাড়াতেঃ আমাদের শরীরে এনার্জী বাড়ানেোর একটি সহজ প্রোটিন হচ্ছে ডিম ।ডিমের মধ্যে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকার কারনে শরীরে খুব সহজে এনার্জী উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত ডিম খেলে শরীরের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ওভিটামিন মিনারেলের চাহিদা পূরণ হয় সেই সাথে ডিমে িওমেগাবি-৩ এন্টি এসিড থাকার কারনে স্বাস্থ্যকর চর্বি যা আমাদের পুষ্টি যোগায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধি রোগে এই ডিম প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিমে ভিটামিন ডি,ভিটামিনই,লিউটন নামক উপাদান থাকার কারনে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

হাড়ও দাঁতেকে মজবুত রাখতেঃ হাড়ওদোঁতের স্বাস্থের জন্য ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডিিএন্টিজনিক, বায়োঅ্যাকক্টিভ ,লিউটন,জিংক,জিয়াজেনথিন নামক উপাদান থাকার কারনে হাড়ওদাঁতকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে। ডিমে রয়েছে ল্যুটিনও জিয়াক্সানথিন যা চোখের রেটিনার সূস্থতা ওদৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
গর্ভকালীন সময়ও শিশুর মস্তিস্ক বিকাশেঃ গর্ভকালীন সময়ে মা যদি নিয়মিত প্রতিদিন ১টি করে ডিম খায় তাহলে মাও গর্ভস্থ শিশুর মস্তিস্ক বিকাশে ওশরীরে সূস্থ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মাংশপেশি কে শক্তিশালী করতে ঃ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমান এন্টিঅস্কিডেন্ট যা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বক,নখ,চুলেরসূস্থ্যতার জন্যঃ সিদ্ধ ডিমমে মেমব্রেন তৈরী হওয়ার কারনে পেশি,চুল,নখের সূস্থ্যতার জন্য খুবই উপকারি।

অপকারিতা

প্রত্যেকটি খাবারের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিক রয়েছে। এমনকি গুনের পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াও হতে পারে নিচে সেগুলো দেওয়া হল।
অতিরিক্ত ডিম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
ডিমের কুসুম ডায়বেটিকস রোগীদের টাইপ ২ বাড়াতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ডিমখেলে আথ্রাইটিকস বা বাতের ব্যাথার মত সমস্যা হতে পারে।

যেভাবে ডিম খেলে ক্যান্সার হতে পারে
ডিম আমরা বিভিন্ন্ ভাবে খেয়ে থাকি সিদ্ধ,ভাজি ওমলেট , তরকারির সবকিছুতেই এই পুষ্টিকর উপাদান টি ভুল পদ্ধতিতে খেলে ক্যান্সার হতে পারে। ব্রিটেনের দ্য জার্নাল অফ নিউট্রেশন েপ্রকাশিত তথ্যে জানা যায় যে, ডিমের তরকারি একাধিক বার গরম করে খেলে প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় ডিমের মধ্যে নানা ব্যাকটেরিয়া জন্মায় ওই ব্যাকটেরিয়ায় হাই প্রোটিন নাইট্রোজেন থাকে ।

ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে নাট্রোজেন অসক্সাইড তৈরী হয় যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। নডিমের ঝোল বা ওমলেট কোনটাই দ্বিতীয় বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়।

মন্তব্য

ডিমের গুণ অপরিসীম। মুরগীর মাংসের চেয়ে মানবদেহের জন্য এর পুষ্টিগুন বেশি। তবে এ খাবার সম্পর্কে মানুষের কিছু ভ্রান্ত ধারনা থাকলেও জনপ্রিয় খাবারের টেস্ট ও প্রোটিনের ৭০ ভাগ চাহিদা পূরনের জন্য এটিকে রেফারেন্স প্রোটিন বলা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪